এখন যাদের জন্য বৃত্তি খুঁজছি (ভার্সিটি)
(বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বৃত্তি বছরে ১৯২০০ টাকা)
১) শ্রাবন্তি বিশ্বাস, খুলনা, হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজ, ঢাকা – মেয়েটি মেডিকেলে ৪রথ বর্ষে পড়ছে। এতদিন বাবার একটা চাকুরীর উপর নির্ভর করে পড়াশুনা করছিল; কিন্তু বাবা সম্প্রতি অবসরে গেছে। এখন তাঁর গচ্ছিত টাকা ভেঙ্গে পড়াশুনা করতে হচ্ছে। (বছরে ২৫২০০ টাকা)
২) বিদ্যুৎ হোসেন, রংপুর, ভেটেনারী, সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় – বাবার ছোট একটা মুদি দোকান আছে; সামান্য আয় দিয়ে ৫ সদস্যের সংসার চালাতে পারেন না। ছেলেটি ভাই বোনের মধ্যে বড়; বেশি টিউশনি করতে গিয়ে পড়াশুনায় ক্ষতি হচ্ছে।
৩) মুক্তা মনি, পটুয়াখালী, ইসলামী শিক্ষা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় – বাবা রিক্সা চালক, সংসার চালিয়ে মেয়েকে ঢাকায় মেস এ থাকা খাওয়ার খরচ দিতে পারছেন না।
৪) শান্ত কর্মকার, মাগুরা, AIS, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় – কিছুদিন আগে বাবা মারা গেছেন; পরিবার এখন দিশে হারা। মা’ইয়ের আলাদা তেমন কোন আয় রোজগার নেই। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা বন্ধ হওয়ার পথে। ছেলেটির পড়াশুনা চালিয়ে নিতে, একটি বৃত্তি খুব দরকার।
৫) মনিকা খানম, নড়াইল, ইসলামী স্টাডিজ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় – বাবা ভূমিহীন বৃদ্ধ কৃষক, নিজেদের তেমন কোন জমি নেই। সম্প্রতি ভগ্নিপতি মারা যাওয়ায় বোন তার ছেলেমেয়েকে নিয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছে। এত বড় সংসার চালানোর সামরথ তাঁর নেই। পড়াশুনার খরচ দিতে পারছে না।
৬) জাহাঙ্গীর হোসেন, চট্টগ্রাম, ১ম বর্ষ DVM, HSTU; দিনাজপুর – ছেলেটির বাবা-মা কেও নেই। মামা বাড়িতে বড় হয়েছে, তাঁর আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। ছেলেটি মসজিদের ইমামতি করে কিছু টাকা জোগাড় করে ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছে; এখন সেটা কন্টিনিউ করতে পারছে না।
৭) মিথিলা শুরভী শুপ্তা , মাগুরা, কৃষি, শের এ বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়- বাবা স্ট্রোক করে অসুস্থ হয়ে কোন কাজ করতে পারেনা। বড় ভাই বোনেরা বিয়ে করে আলাদা থাকেন। একটা ভাই ছোট একটা চাকুরী করে সংসার চালান, পড়াশুনার খরচ দেওয়ার সামরথ তার নেই।
৮) আলি হাসান, নীলফামারী, গোপালগঞ্জ বিশবিদ্যালয় – বাবা দিনমুজুর ছিলেন, এখন স্ট্রোক করে অসুস্থ, কাজ করতে পারেন না। ছেলেটি টিউশনি এবং এটা সেটা পার্ট টাইম কাজ করে নিজের খরচ চালাত কিন্তু এখন সেটাও সম্ভব হচ্ছে না।
৯) ফাতেমা ইসলাম, চুড়াডাঙ্গা, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় – বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হওয়ায় মা অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াশুনা শেখাছেন। তাঁর নিজের তেমন কোন আয় নেই। এতদিন নানা কিছুটা হেল্প করতেন, কিন্তু সম্প্রতি তিনিও মারা গেছেন।
১০) হাফিজুল ইসলাম, সাতক্ষীরা, গোপালগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় – বাবা হঠাত করে মারা যাওয়ায় সংসারে দুর্দশা শুরু হয়েছিল; মোরাল প্যারেন্টিং এর বৃত্তি পেয়ে মুটামুটি চলছিল। কিন্তু হঠাত বৃত্তিটা বাতিল হওয়ায় আবার বিপদে পড়েছে।
অন্যান্য
এখন যাদের জন্য বৃত্তি খুঁজছি –(স্কুল-কলেজ)
১) অনন্য খাতুন, ১০ম শ্রেনী, সিঙ্গিয়া স্কুল, নড়াইল – বাবা নিরাপত্তা কর্মী; প্রায় ই অসুস্থ থাকেন; ঔষধ কিনতে অনেক টাকা চলে যায়। দুই মেয়েকে পড়াশুনার খরচ দিতে পারছেন না। (বছরে ৮৬০০ টাকা)
২) মুশফিকুর রহমান, ৬ষ্ঠ শ্রেণি, পুলুম হাইস্কুল, মাগুরা- বাবা শ্রমিক হিসাবে বিদেশে গিয়েছিলেন সংসারের ভাগ্য ফেরাতে। সেখান থেকে পানি ভেবে ভুল করে এসিড খেয়ে কন্ঠনালী পুড়িয়ে ফেলেছেন;। দেশে ফিরে অনেক টাকা খরচ করে কিছুটা সুস্থ হলেও এখন বড় কোন কাজ করতে পারেন না। ছেলেটাকে পড়াশুনা শিখিয়ে মানুষ করে আবার ভাল থাকার স্বপ্ন দেখেন। (বছরে ৬৬০০ টাকা)
৩) সাবিহা সুলতানা জুই, ১০ম শ্রেনী, গঙ্গারাম্পুর, মাগুরা– মেয়েটি ক্লাশে ৫০ জনের মধ্যে ১ম; বড় হয়ে আইনজীবী হতে চাই। বাবা খুব অল্প বেতনে একটা চাকুরী করেন, সেই আয় দিয়ে সংসার চালিয়ে মেয়েকে ঠিক মত খরচ দিতে পারেন না। (বছরে ৮৬০০ টাকা)
৪) জিহাদ হোসেন, ১০ম শ্রেণি, রজব আলী হাইস্কুল, সিরাজগঞ্জ – বাবা গ্রামের মসজিদের ইমাম ছিলেন; হঠাত অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেই চাকুরীটা চলে যায় এখন কিছু করেন না। ছেলেমেয়ের স্কুলের বেতন দেওয়ার সামরথ তার নেই। (বছরে ৮৬০০ টাকা)
৫) মেরাজী খাতুন, ৯ম শ্রেণি, সিন্দুরমতি হাইস্কুল, লালমনিরহাট – ওর যখন ৩ বছর বয়স তখন বাবা ওদের ছেড়ে চলে যায়; মা ২ ছেলেমেয়ে অকুল পাথারে পড়েন। নানা বাড়িতে এসে আশ্রয় নেই; কিন্তু নানার আর্থিক অবস্থাও ভাল না। কোনরকম খেয়ে না খেয়ে দিন চলে। (বছরে ৮৬০০ টাকা)
৬) কানিজ ফাতেমা আইরিন, ডিগ্রি ২য় বর্ষ, মোহাম্মদপুর মহিলা কলেজ– মেয়েটি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী; বাবা মারা গেছেন; অবর্ণনীয় কষ্ট করে পড়াশুনা করছে। এত দিন নানির কাছে ছিল; সম্প্রতি নানি মারা যাওয়ার পর ঢাকার একটি কেয়ার হোমে থাকে। (বছরে ১১৮০০ টাকা)
৭) আফসানা শাহরিন মুনা, ১০ম শ্রেনী, কান্দাপাড়া হাইস্কুল, বাগেরহাট – মেয়েটি ক্লাশে ১০৫ জনের মধ্যে ২য়; পড়াশুনা করে ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের সেবা করতে চায়। বাবা দরিদ্র ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী; মেয়েকে ঠিক মত পড়াশুনার খরচ দিতে পারেন না। (বছরে ৮৬০০ টাকা)
৮) অলিদ হাসান, ৮ম শ্রেণি, পুলুম টেকনিক্যাল স্কুল, মাগুরা – বাবা ছিলেন সংসারে একমাত্র আয় করার মানুষ। তার মৃত্যুর পর সংসারের হাল ধরার মত কেও নেই। খেয়ে না খেয়ে দিন পার করছে। (বছরে ৬৬০০ টাকা)
৯) শাম্মি আক্তার শাহারিন, ৯ম শ্রেণি, দুধ মল্লিক বালিকা বিদ্যালয়, মাগুরা – বাবা মফস্বল শহরে রিক্সা চালিয়ে কোন রকমে সংসার চালাচ্ছেন। ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার খরচ দেওয়ার সমর্থ তার নেই। (বছরে ৮৬০০ টাকা)
১০) আরাফাত ইসলাম, বুলবুল কলেজ, পাবনা – সকল পরীক্ষায় GPA- 5 পেয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছে; কিন্তু সেটা কন্টিনিউ করতে পারছে না। ছেলেটির স্বপ্ন বুয়েটে পড়া; কিন্তু দরিদ্র কৃষক বাবা পড়াশুনার খরচ দিতে পারছেন না। (বছরে ১০৬০০ টাকা)