এখন যাদের জন্য বৃত্তি খুঁজছি (ভার্সিটি)
১) মোহন খন্দকার, মাগুরা, সোশিওলজি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা- ২০১৬ সালে বাবা মারা যান, বড় ভাই রাজমিস্ত্রির কাজ করে কোনরকম সংসার চালিয়েছেন। তিনি সম্প্রতি বিয়ে করেছেন, ফলে তার নিজের সংসার দেখাশোনা করতে হচ্ছে , ভাই এর পড়াশোনার খরচ আর দিতে পারছে না।
২) নির্মল রায়, নীলফামারী, ১ম বর্ষ, ইতিহাস , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় –দিনমজুর বাবা ৬ সদস্যের পরিবারের খরচ চালিয়ে ছেলেকে পড়াশুনার খরচ দিতে পারছে না । ছেলেটি টাকার অভাবে তিন বেলা ঠিকমতো খেতে পারে না, ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েও সেটা কন্টিনিউ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৩) আইরিন সুলতানা, কুমিল্লা, সমাজকর্ম, নোয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়, – বাবা ছোটখাটো একটা সরকারি চাকরি করতেন কিন্তু তিনি সম্প্রতি স্ট্রোক করায় অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ইন্ডিয়া যেয়ে নিয়মিত চিকিৎসা নিতে হচ্ছে, এই খরচ বহন করা তার পক্ষে সম্ভব নয়। মেয়েটি নিজেও অসুস্থ তার চিকিৎসা এবং পড়াশোনা খরচ চালানো সম্ভব হচ্ছে না।
৪) রাহাত খান, ময়মনসিংহ, ফিনান্স এন্ড ব্যাংকিং, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়– বাবা কোন কাজ করতে পারেন না, ভাই এর সহায়তায় পড়াশোনা করছিল, এখন তাদের সংসার হয়েছে। ছেলেটিকে পড়াশোনা টাকা দিতে পারছে না, মফস্বল এলাকায় টিউশনি ম্যানেজ করা কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৫) মুজাহিদুল ইসলাম, মাগুরা, গণিত, যশোর বিশ্ববিদ্যালয় – বাবা অতি দরিদ্র কৃষক, নিজেদের তেমন জমি জমা নেই, ছেলেটি আমাদের বৃত্তি পেত, হঠাৎ বৃত্তি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে, নতুন জায়গায় এখনো টিউশনি ম্যানেজ করতে পারেনি, পড়াশোনা চালানো কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৬) কল্পনা খাতুন, পাবনা , প্রথম বর্ষ , ভূগোল , পাবনা বিশ্ববিদ্যালয় – মেয়েটি দশম শ্রেণী থেকেই নিজে টিউশনি করে পড়াশোনার খরচ চালিয়েছে। আর্থিক অসংগতির কারণে তাকে বেশ কয়েকবার পরিবার তাকে বাল্যবিবাহ দিতে চেয়েছে, কিন্তু পড়াশোনা প্রতি আগ্রহ দেখে তারা পড়াশোনার পারমিশন দিয়েছে তবে খরচ দেয়ার মত অবস্থা তাদের নেই। ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করা এবং অধিক পরিশ্রম করার কারণে সে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
৭) মোহাম্মদ আরমান , ময়মনসিংহ , সমাজ তত্ত্ব, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়- ভার্সিটিতে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন আগে বাবা ব্রেন স্ট্রোক করেন প্যারালাইজড হয়ে যান , তার চিকিৎসা করাতে গার্মেন্টস শ্রমিক ভাই সর্বস্ব দিয়ে দে্ তাও বাবাকে বাঁচাতে পারেনি। এখন ছেলেটির পড়াশোনার করার খরচ দেওয়ার মত কেউ নাই।
৮) জাহাঙ্গীর আলম , চুড়াডাঙ্গা , আইন বিভাগ , জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় – ২০১৭ সালে বাবা মারা যান; তিনি ছিলেন একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ছেলেটা জজ হওয়ার স্বপ্ন দেখে, কিন্তু এখন পড়াশোনা শেষ করাটাই তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
৯) আয়েশা আক্তার, খুলনা, CSE, 1st year, আহসানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়– বাবা একটি মাদ্রাসার শিক্ষক, খুবই অল্প বেতন পান। ওর আরো দুই ভাই বোন পড়াশোনা করে, এক বোন প্রতিবন্ধী। বাবার সামান্য আয় দিয়ে পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছেন না।
১০) ফেরদৌস রহমান, ফরিদপুর, EEE, দ্বিতীয় বর্ষ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া – ছোটবেলায় থেকে ছেলেটি টিউশনি করে পড়াশোনা করেছে, ওর ইউনিভার্সিটিতে টিউশনি পাওয়া খুব কঠিন এবং পেলেও সেটার বেতন খুব কম। এই টাকা দিয়ে চলা সম্ভব হচ্ছে না।
(বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে বৃত্তি বছরে ২১৬০০ টাকা)
অন্যান্য
এখন যাদের জন্য বৃত্তি খুঁজছি –(স্কুল-কলেজ)
১) অংকুর বিশ্বাস , প্রথম বর্ষ রসায়ন , এমএম কলেজ যশোর- ছেলেটির বাবার আর্থিক অবস্থা এতটাই খারাপ যে ওরা ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া করতে পারে না; ছেলেটি SSC এবং HSC পরীক্ষায় GPA_5 পাওয়ার পরও পড়ালেখা চালানো নিশ্চিত। টাকার অভাবে ভার্সিটিগুলোতে ভালোভাবে পরীক্ষা দিতে পারেনি, যশোর এম এম কলেজে ভর্তি হয়েছে, সেখানে খরচ চালানোর মতো অবস্থান ওদের নেই।
২) টিটু ইসলাম, ১২ শ্রেণী, বিজ্ঞান, গাবতলী কলেজ, বগুড়া – ছেলেটি পূর্বের সকল পরীক্ষায় GPA-5 পেয়ে পাস করেছে। তার স্বপ্ন একদিন বিশ্ববিদ্যালয় পড়বে, কিন্তু দুই বছর আগে হঠাৎ করে রোড এক্সিডেন্টে তার বাবা মারা যায়, আম্মুর নির্দিষ্ট কোন ইনকাম নেই, সে বড় হয়ে ডাক্তার হতে চায়। (বছরে বৃত্তি ১১৮০০ টাকা)
৩) বুশরাত জাহান বর্ণা, দ্বাদশ শ্রেণী বিজ্ঞান, পার্বতীপুর, দিনাজপুর সরকারি মহিলা কলেজ– মেয়েটি এতিম, ছোটবেলায় বাবাকে হারানোর পর থেকে এখন পর্যন্ত আমার পড়ালেখা চালানো খুব কষ্টকর হয়ে পড়েছে, বর্তমানে সে খুব দুরারোগ্য একটি রোগে আক্রান্ত, এমত অবস্থায় তার পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা এবং পড়া লেখ খরচ বহন করতে অক্ষম। (বছরে বৃত্তি ১১৮০০ টাকা)
৪) সাব্বির মোল্লা, মাগুর্ CSE, মাগুরা পলিটেকনিক- বাবা অতি দরিদ্র কৃষক, সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম। এর মাঝে ২ বোনের বিয়ে দিতে গিয়ে উনি নিঃস্ব প্রায়, ছেলের পড়াশুনার খরচ দিতে পারছে না। (বছরে বৃত্তি ১৩০০০ টাকা)
৫) যমুনা খাতুন, নবম শ্রেণী , পুলুম গার্লস স্কুল, মাগুরা – বাবা ভ্যান চালক, জমিজমা নাই, সামান্য আয় দিয়ে তিনি মেয়ের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছেন না। মেয়েটি বড় হয়ে সেনাবাহিনীর অফিসার হতে চাই। (বছরে বৃত্তি ৯২০০ টাকা)