ছেলেটি প্রথম প্রথম আমার সাথে ফোনে কথা বলার সময় কেঁদে দিত; বলত, “স্যার এভাবে আন্তরিকতা দিয়ে আমার সাথে কেও কথা বলে না, আপনাকে সামনে পেলে পা ছুঁয়ে সালাম করব”। ওর বাবা আর এক ভাই বাক-প্রতিবন্ধি হওয়ায় সমাজের মানুষজন ওদের পরিবারকেে একটু অন্য চোখে দেখত। সেই ছেলে এখন এক সাথে ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে (রা বি, চ বি, ঢা বি); ইনশাআল্লাহ্ ও ঢাকা ভার্সিটিতে ভর্তি হবে। যে প্রতিবেশীরা ওকে করুনার চোখে দেখত সেই প্রতিবেশীদের কাছে ও এখন গর্ব! ওকে খুঁজে পাওয়ার গল্পটাও অন্য রকম। আমাদের এক বন্ধু নরসিংদী হসপিটালের ডাক্তার; ছেলেটি ওর বাবাকে নিয়ে এসেছিল ডাক্তার দেখাতে। গল্পে গল্পে ডাক্তার জানতে পারেন ওদের পরিবারের অবস্থা; উনি তার ফ্রি চিকিৎসার ব্যাবস্থা করেন আর ছেলেটিকে মোরাল প্যারেন্টিং এ বৃত্তির জন্য আবেদন করতে বলেন। সেই স্কুল লাইফ থেকে জাপান প্রবাসী একজন মোরাল প্যারেন্ট ওকে বৃত্তি দিয়ে আসছেন; আর ডাক্তার সাহেব ওর ভলেন্টিয়ার হয়ে স্থানীয় ভাবে দেখাশুনা করেন। দীর্ঘদিন ধরে ছেলেটির আচার ব্যবহারে ডাক্তার বন্ধু এতটাই খুশি যে, সম্প্রতি জাপান প্রবাসী ভাইকে বুঝিয়ে শুনিয়ে ছেলেটিকে তার নিজের মোরাল চাইল্ড করে নিয়েছেন। আসলে আমাদের প্রতেকেরই নির্দিষ্ট মোরাল চাইল্ড আছে; তারপরও আমরা মনে করি সকল মোরাল চিলড্রেনই আমাদের নিজেদের সন্তানের মত। আমরা যে যেভাবে পারি, যতটুকু পারি ওদের সংগ্রামের পাশে দাড়িয়েছি; থাকব ওদের নিজের পায়ে দাঁড়ানোর আগ পর্যন্ত, ইনশাআল্লাহ্!!!