মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার সাথে সাথে, প্রথমে ভলেন্টিয়ার স্যার, এক কিছুক্ষন পর আমেনা খুশিতে গদগদ হয়ে আমাকে ফোন করে জানাল সে খুলনা মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। সংবাদটা শুনে এতটা খুশি হলাম, মনে হলো আমার নিজের সন্তানের সুখবর শুনছি।

মেয়েটাকে সেই স্কুল লাইফ থেকে আমরা প্যারেন্টিং করছি। ওর বাবা ওকে আর ওর মাকে ছেড়ে চলে গেছেন। সেই থেকে মা মেয়ের সংগ্রাম শুরু! মায়ের নির্দিষ্ট কোন আয় নেই; কায়িক শ্রম দিয়ে সংসার চালান।

এস এস সি পরীক্ষায় চমৎকার রেজাল্ট করার পর একটি পোষ্টে আক্ষেপ করে লিখেছিলাম, এমন সোনার মেয়েকে ছেড়ে কেমনে বাবা অন্য কোথাও চলে যায়!!

এর পর অনেক চড়ায় উৎরাই পার হতে হয়েছে; প্রথমে একজন মোরাল প্যারেন্ট ওকে ৩ বছর মত সাপোর্ট করেন; পরে তিনি আর কন্টিনিঊ না করতে পারায় মেয়েটি খুব হতাশ হয়ে পড়ে। পরে আরেকজন মোরাল প্যারেন্ট ওর দায়িত্ব নেন; তিনিই এখন পর্যন্ত পাশে আছেন; সামনের দিন গু;লোতেও থাকবেন বলে কথা দিয়েছেন।

অভিনন্দন আমেনার মোরাল প্যারেন্টসদের!
শুভ কামনা, আমেনা!!!
তুমি তোমার দুখিনী মায়ের স্বপ্ন পূরণ করেছ; আল্লাহ্‌ তোমার মনের আশা পূরণ করুন!!