by Administrator | Oct 19, 2024 | Uncategorized
আমাদের পরিবারের মূল শ্লোগান “নৈতিক সমাজ গঠনের প্রত্যয়ে- মোরাল প্যারেন্টিং”। দুর্নীতি মূক্ত সমাজ ছাড়া নৈতিক সমাজ অসম্ভব। আর দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়তে হলে মানুষকে সচেতন হতে হবে। তাই আমরা প্রাথমিক ভাবে ঘুষ-দুর্নীতি বিরোধী প্রচারনা চালাচ্ছি, সমাজের সাধারণ মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি। অনলাইন-অফলাইনে বিভিন্ন উপায়ে এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
by Administrator | Oct 19, 2024 | নৈতিক সমাজ গঠনে মোরাল চাইল্ড কর্তৃক গৃহীত কার্যক্রম
আমাদের মোরাল চিলড্রেনরা শুধু সমাজ থেকে সাহায্য নেই না, তারা সাধ্যমত বিভিন্ন সামাজিক কাজে অংশগ্রহণ করে থাকে। মোরাল প্যারেন্টিং এর মূল লক্ষ্য, নৈতিক সমাজ গঠনে অবদান রাখা। নৈতিক সমাজ গঠন করতে হলে প্রথমে দরকার নৈতিক মানুষ। আমাদের মোরাল চিলড্রেনরা নৈতিক মানুষ হওয়ার প্রশিক্ষণ স্বরূপ তাদের সাধ্যমত বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করে। প্রতিটি ক্যাম্পাসে ভলান্টিয়ার টিম গঠন করা হয়েছে; তারা তাদের ক্যাম্পাসের আশেপাশে নিম্নলিখিত কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকেঃ
(১) প্রাকৃতিক দুর্যোগে সহায়তা
(২) পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা
(৩) জন সচেতনতা বৃদ্ধি
(৪) বৃক্ষ রোপন
(৫) হাসপাতালে সেবা
by Administrator | Oct 19, 2024 | Project of Moral Parenting
মোরাল চিলড্রেনদের ইংলিশ কমিউনিকেশন স্কীল ডেভেলপমেন্টের জন্য Online English Adda কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। সারাদেশের ভার্সিটি পর্যায়ের ৭০০ এর বেশি শিক্ষার্থী কে ৫-৮ সদস্যের গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। এই গ্রুপ গুলো একজন মেন্টরের নেতৃত্বে সপ্তাহে ২ দিন ১ ঘন্টা করে অনলাইনে ইংলিশে আলোচনা করে। আলোচনার সুবিধার্থে নির্ধারিত টপিকের উপর Discussion Plan প্রস্তুত করা হয়েছে। স্টুডেন্টদের মধ্যে যারা ইংলিশে একটু ভাল এবং লিডারশীপ কোয়ালিটি আছে তাদেরকে মেন্টর হিসাবে সিলেক্ট করা হয়েছে। মেন্টরদের এক্সপার্ট দিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
সদস্যগন প্রতি সেশনে ২০০ টাকা করে ফি প্রদান করে যা দিয়ে মেন্টর কে ১০০০ টাকা সম্মানী দেওয়া হয়, বাকী টাকা শিক্ষার্থীদের দ্বারা গৃহীত “নৈতিক সমাজ গঠন” মূলক কাজে ব্যবহৃত হয়। ভার্সিটি পর্যায়ের সকল মোরাল চাইল্ডের জন্য এখন Online English Adda কে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর পাশাপাশি একদিন তারা ক্যাম্পাসে একত্রে বসে ইংলিশে কথা বলার প্রাকটিস করে এটি “ক্যাম্পাস আড্ডা ” নামে পরিচিত।
by Administrator | Oct 19, 2024 | Project of Moral Parenting
মোরাল চিলড্রেনদের ক্যারিয়ার গঠন তথা সামাজিক ও নৈতিক ভাবে ভালমানুষ হিসাবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনলাইনে আলোচনা করা হয়। দেশে ও প্রবাসে বসবাসকারী বিভিন্ন বিষয়ে অভিজ্ঞ মোরাল প্যারেন্টগণ ওদের উদ্দেশ্যে লেকচার দেন, ওদের কথা শোনেন এবং সেই অনুযায়ী পরামর্শ দেন। প্রতি মাসে সাধারন ১-২ টি লেকচার আয়োজন করা হয়।
কম্পিউটারে ব্যাসিক দক্ষতা নেই এমন গ্রাজুয়েট এখন কল্পনা করা যায় না। তবে নানা সীমাবদ্ধতার কারনে আমাদের মোরাল চিলড্রেনরা এক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে। ওদের অধিকংশের কম্পিউটার নেই, অনেকের স্মার্ট ফোনও নেই, কিন্তু এই অজুহাত নিয়ে বসে থাকলে তো চলবে না। এই সীমাবদ্ধতার মধ্যেও কিভাবে ওরা কম্পিউটারের ব্যসিক কাজকর্ম গুলো শিখতে পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। ৫০ জন করে এক একটা গ্রুপ করে অনলাইন লেকচার দেওয়া হচ্ছে। ক্যাম্পাসে বিদ্যমান সুবিধা নিয়ে গ্রুপ স্ট্যাডির মাধ্যমে হাতে কলমে কম্পিউটার শেখানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রতিটি ক্যাম্পাসে কিছু পরিমানে ল্যাপটপ সরবরাহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
by Administrator | Oct 19, 2024 | Project of Moral Parenting
মোরাল প্যারেন্টিং এর প্রধান কার্যক্রম দরিদ্র – মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান। মোরাল প্যারেন্টগণ তাদের সুবিধা অনুযায়ী ট্রাস্টের ব্যাংক হিসাবে বৃত্তির টাকা জমা রাখেন। এই বৃত্তি প্রতি দুই মাস (সেশন) পরপর ক্যাম্পাস গার্ডিয়ানের (স্থানীয় শিক্ষক) মাধ্যমে মোরাল চাইল্ডদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়। ক্যাম্পাস গার্ডিয়ানগন তার ক্যাম্পাসের বা উক্ত এলাকার সকল মোরাল চিলড্রেনদের সুবিধাজনক সময়ে ও স্থানে একত্রিত করে বৃত্তি প্রদান করেন, একে আমরা “বৃত্তি উৎসব” বলি। বৃত্তি দেওয়া ছাড়াও এইদিন ক্যাম্পাস গার্ডিয়ান তার স্টুডেন্টদের খোঁজ খবর নেন, রেজাল্ট কার্ড দেখেন এবং দিকনির্দেশনামূলক উপদেশ প্রদান করেন। বৃত্তি উৎসব মোরাল চিলড্রেনদের জন্য একটি আনন্দের দিন; এটা তাদের পুনর্মিলনের দিন। এই দিন তারা একত্রিত হয়ে গল্প-গুজব করে, নিজেদের সফলতা-সমস্যা নিয়ে আলোচনা করে, বক্তৃতা প্রাকটিস করে, নতুনদের সাথে পরিচিত হয়, একসাথে নাস্তা করে, সব শেষে মোরাল প্যারেন্টের উদ্দেশ্যে হাতে লেখা চিঠি জমা দিয়ে বৃত্তি গ্রহন করে। মোরাল চিলড্রেনদের মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং তাদের কমিউনিকেশন স্কীল ডেভেলপমেন্টে “বৃত্তি উৎসব” গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে।